ফল চাষের সাধারণ নিয়মাবলি

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

অধিকাংশ ফল দীর্ঘমেয়াদি ফসল হিসেবে বিবেচিত । এ জন্য কোনো স্থানে ফল বাগান স্থাপন করতে হলে সেই জায়গার পরিবেশ, জলবায়ু ও মাটি সম্বন্ধে অবশ্যই সম্যক ধারণা থাকতে হবে । ফল বাগানের জন্য উঁচু জমি, যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়ায় না বা পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা আছে এ রকম খোলামেলা জায়গা ফল বাগানের জন্য নির্বাচন করা উচিত ।

প্রত্যেক ফল গাছই একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ ও মাটি পছন্দ করে । তাই গাছের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি নির্বাচন করতে হবে । এছাড়াও ফল বাগান স্থাপনের সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুব প্রয়োজন । কারণ স্বল্পমেয়াদি ফসলের ক্ষেত্রে কোন ভুলত্রুটি হলে তা পরবর্তী সময়ে সহজে সংশোধন করা যায় । কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী বৃক্ষ জাতীয় ফল বাগান প্রতিষ্ঠার সময় কোন ভুলত্রুটি থাকলে তা পরবর্তীতে সংশোধনের সুযোগ থাকে না । এ জন্য বৃক্ষ জাতীয় ফল চাষের জন্য বাগান বিন্যাস, গাছ নির্বাচন, বাজারজাতকরন, সেচ, পানি নিস্কাশন, কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা, ফল প্রক্রিয়াজাতকরন, শ্রমিক সরবরাহ, সুষ্ঠু বাগান ব্যবস্থাপনা, ফলের জাত, গাছের আকার আকৃতি ও বৃদ্ধির প্রকৃতি ইত্যাদি মৌলিক বিষয়াবলি সম্বন্ধে একজন আধুনিক ফলচাষীর অবশ্যই তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান থাকতে হবে ।

জলবায়ু, জমি ও মাটিভেদে ফল গাছের শ্রেণিবিভাগ

ফলের ফলন নির্ভর করে তার সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতির ওপর । চাষাবাদ পদ্ধতির ধরন এবং এর বাস্তবায়ন আবার নির্ভর করে স্থানীয় জলবায়ু, জমি, মাটি ও গাছের প্রকৃতি ইত্যাদির ওপর । ফল দীর্ঘমেয়াদি ফসল বিধায় কোন স্থানে বাগান স্থাপন করার পূর্বে চাষীদের অবশ্যই সেই জায়গার পরিবেশ, জলবায়ু ও মাটি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা থাকা দরকার । এছাড়া ফল বাগান স্থাপনের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুবই প্রয়োজন । স্বল্পমেয়াদী ফসলের ক্ষেত্রে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা পরবর্তীতে সংশোধনের সুযোগ থাকে তাছাড়া ক্ষতি হলেও ক্ষতির পরিমাণ কম হয় । কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ফসলের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ থাকে না এবং ক্ষতির পরিমান বেশি হয় । সুতরাং ফল চাষাবাদের জন্য জলবায়ু ভেদে উপযুক্ত গাছ নির্বাচন, মাটি নির্বাচন, বিভিন্ন আন্তঃপরিচর্যা সম্পাদন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার ।

কোন নির্দিষ্ট আবহাওয়ায় সব ধরনের ফলের চাষ করা যায় না। ভিন্ন ভিন্ন ফল চাষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় । তবে খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রায় কোন গাছ ভালভাবে জন্মাতে পারেনা । ফলের বাগান যে এলাকায়ই হাকে না কেন, মাঝে মাঝে প্রতিকুল আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয়। সে সময় কিছু কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয় ।

কোন স্থানের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতিবেগ, বাতাসের আর্দ্রতা, শিলাবৃষ্টি, আলো, কুয়াশা ইত্যাদির দৈনিক পরিবর্তনকে ঐ স্থানের আবহাওয়া বলে । কোন স্থানের আবহাওয়ার কয়েক বছরের গড়কে সে স্থানের জলবায়ু বলে। কোন স্থানের জলবায়ুর সাথে ঐ স্থানের ফল চাষের সরাসরি সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফল গাছ প্রায় সব জায়গায় জন্মাতে পারে। কারণ বাংলাদেশের একস্থান হতে অন্যস্থানের আবহাওয়ার মধ্যে তেমন বেশি পার্থক্য নেই । তাই বাংলাদেশের সব ফল সব এলাকায় কমবেশি জন্মানো যাবে এবং ফল ধরবে । আমাদের দেশে এলাকা বিশেষে আবহাওয়ার তারতম্য কিছুটা আছে, বিধায় স্থান বিশেষে কোন কোন ফল বেশি লাভজনকভাবে জন্মানো যায় । এছাড়া এলাকা বিশেষে ফলের গুণাবলির মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় । কেননা ফল গাছে ফল ধরার জন্য মাটি ও আবহাওয়ার বিভিন্ন প্রভাবকগুলো কাজ করে । মাটির প্রভাবকগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন নতুন কৌশল দ্বারা অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় । আবহাওয়ার প্রভাবক গুলোর পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না । তাই আবহাওয়ার প্রভাবক গুলোর ওপর নির্ভর করে ফলকে চার ভাগে ভাগ করা যায়-

ক) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফল 

খ) অব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফল 

গ) শীতপ্রধান অঞ্চলের ফল 

ঘ) ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ফল

ক) গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল 

বিষুব রেখার ২৩-২৭০ হতে ২৩-২৭০ উত্তর দক্ষিণ অংশের মধ্যবর্তী এলাকায় যে সব ফল জন্মে সেগুলোকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল বলে। উদাহরণ - আম, পেঁপে, কলা, আনারস, নারিকেল, কাঁঠাল ইত্যাদি । গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে সারা বছর উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং দিনের দৈর্ঘ্য ১১ থেকে ১৩ ঘন্টার মধ্যে সীমিত থাকে । বাংলাদেশে বেশির ভাগ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল উৎপন্ন হয় ।

খ) অগ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল

২৩.২৭° হতে ৪০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী এলাকায় যেসব ফল জন্মে সেগুলোকে অব গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল বলে। এ অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময় ধরে শীতকাল বিরাজ করে। কিন্তু শীত তেমন তীব্র হয় না এবং তাপমাত্রা বরফ জমা অবস্থায় নামে না। এ এলাকার ফলগুলো হলো- কমলা লেবু, লিচু, কুল, খেজুর, ডুমুর, ডালিম, নাশপাতি, আঙ্গুর ইত্যাদি ।

গ) শীত প্রধান অঞ্চলের ফল

৪০ হতে ৬০° উত্তর দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে সব ফল জন্মে সেগুলোকে শীতপ্রধান অঞ্চলের ফল বলে । এ অঞ্চলে আবহাওয়ায় শীতের তীব্রতা থাকে । শীতপ্রধান অঞ্চলের ফলগাছে ফুল ও ফল ধরার পূর্বে কিছুদিনের জন্য গাছকে বরফজমা তাপমাত্রায় অতিবাহিত করতে হয়। শীতপ্রধান অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ১৮-২১° সেলসিয়াস ও শীতকালে ৬-৯° সেলসিয়াস থাকে । এ অঞ্চল বছরের প্রায় ৫০ থেকে ৭৫ দিন তুষার মুক্ত থাকে। এ অঞ্চলের ফল গাছের পাতা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঝরে পড়ে যায় । তবে শীত প্রধান অঞ্চলের ফলগাছ তীব্র শীত সহ্য করতে পারে। এ অঞ্চলের ফল গুলো হলো- আপেল, পাঁচ, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, আঙ্গুর, চেরী, পারসিমন ইত্যাদি ।

ঘ) ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ফল

ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে শুষ্ক এবং শীতকালে বৃষ্টি হয় । গ্রীষ্মকালে রাত্রে অতিরিক্ত কুয়াশা পড়ে এবং রাত্রিকালীন বাতাসে আর্দ্রতা বিরাজ করে। অধিকাংশ ফলই এ অঞ্চলে ভালোভাবে জন্মে থাকে । তবে এ অঞ্চলে ফলগাছে দুইবার সুপ্ততা দেখা যায়। যেমন—শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার সময় একবার এবং গ্রীষ্মকালে খরার সময় আর একবার শীতকালের বৃষ্টিপাত গাছের বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক হয়। এ অঞ্চলের ফলগুলো হলো- খেজুর, ডালিম, কমলা, জলপাই, আঙ্গুর, ডুমুর ইত্যাদি ।

ফল গাছ রোপণের সময় বা মৌসুম এবং চারা রোপণ ও পরবর্তী পরিচর্যা

আমাদের দেশে মে থেকে জুলাই মাস অর্থাৎ গ্রীষ্মের শেষ এবং বর্ষার প্রথম ভাগ ফল গাছের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় । কারণ এ সময় পরিমাণ মত বৃষ্টি হয় এবং বাতাসে এবং মাটিতে প্রচুর আর্দ্রতা থাকায় গাছ সহজে মাটিতে লেগে যায়। যে সব জায়গায় পানি সেচের উত্তম ব্যবস্থা আছে, সেখানে বসন্তের প্রথম ভাগে চারা রোপণ করা যায় । বৃষ্টি না হয়ে থাকলে চারা রোপণের পূর্বদিন গর্তে কিছু পানি সেচ দেয়া যেতে পারে । রোপণের জন্য বিকাল প্রকৃষ্ট সময় । চারার শেকড় যতখানি বিস্তৃত ও গভীর ততখানি বিস্তৃত ও গভীর করে গর্তের মাটি উঠিয়ে নিয়ে গর্তে চারার নিম্নাংশ প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে। তারপর মূলগুলোকে গর্তের মধ্যে বেশ ভালো ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আস্তে আতে মাটি চাপা দিতে হবে । চারা রোপণের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন রোপিত চারার গর্ত জমি হতে উঁচু হয় । তা না হলে বর্ষাকালে গর্তের মাটি বসে গিয়ে চারার চারদিকে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করবে । চারা যাতে সহজে খাড়া থাকতে পারে এজন্য রোপণের পর চারার পাশে খুটি পুঁতে খুটির সাথে চারা বেধে দিতে হবে । চারা রোপণের অব্যবহিত পরে এবং প্রথম কিছুদিনের জন্য প্রতিদিন ঝাঝরি দ্বারা চারার গোড়ায় পানি দ্বারা সেচ দেয়া উচিত । তা ছাড়া চারা রোপণের পর অতিরিক্ত সূর্যালোকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য চারার উপরে ছায়া প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং গোড়ায় শুষ্ক ঘাস, খড় ইত্যাদি চেপে দিতে হবে ।

চারা রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা

জমিতে চারা রোপণের পর বেশ কিছুদিন পর্যন্ত চারাটির যত্ন নিতে হবে যাতে করে তা মাটিতে সহজে লেগে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় । এ জন্য চারার গোড়ায় বেশ কিছুদিন ঝরণা দিয়ে পানি দিতে হবে । বর্ষা মৌসুমে চারার গোড়ায় কোন কারণে পানি জমলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে । এছাড়াও চারার গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে গেলে তা নিড়ানী দিয়ে ঝুরঝুরে করে দিতে হবে । চারার গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে । শুষ্ক মৌসুমে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে । এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকলে চারার গোড়ার চারপাশে শুকনা খড়, ঘাস ইত্যাদি বিছিয়ে দিতে হবে । এভাবে মাটিতে পানি সংরক্ষণের পদ্ধতিকে মালচিং বলা হয় । এছাড়া চারা গাছটি যাতে সোজা হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে জন্য বাঁশের খুটি দ্বারা গাছকে বেধে দিতে হবে। অনেক সময় চারা গাছের গোড়া থেকে শাখা প্রশাখা বের হয় । প্রয়োজন মোতাবেক শাখা প্রশাখা রেখে বাকীগুলো ছাঁটাই করে ফেলতে হবে । গাছের প্রজাতি অনুসারে চারার প্রুনিংয়ের (Pruining বা ছাঁটাই) ব্যবস্থা করতে হবে । অনেক সময় খুব অল্প সময়ে কলমের চারা গাছে ফুল আসে । যার ফলে চারা গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে । এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ফুল ছাঁটাই করে ফেলতে হবে । বৎসরে দুবার গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে । প্রাথমিক অবস্থায় পরিমাণ সার প্রয়োগ করা হয়েছে সেই পরিমাণ সার সমান দু'ভাগে ভাগ করে বর্ষার শুরুতে এবং বর্ষার শেষে প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তী সময় সারের পরিমান বৎসর ওয়ারী বৃদ্ধি করতে হবে । এভাবে চারা গাছ লাগানোর পর তা ফলবতী হওয়া পর্যন্ত যত্ন নিতে হবে । যাতে সুস্থ ও সবল গাছ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত ফলন দেয় ।

ফল গাছ রোপণের জন্য জমির উপযুক্ততা

প্রত্যেক ফল গাছ একটি নির্দিষ্ট ধরনের মাটিতে ভাল ফলন দেয় । অত্যধিক বেলে মাটি এবং শক্ত ভারী এটেল মাটি ফল চাষের জন্য কিছুটা অনুপযুক্ত। আর এ ধরনের মাটিতে কম্পাষ্টে সার প্রয়োগ করে ফল গাছ রোপণ উপযোগী করে তোলা সম্ভব। কিন্তু এ কাজ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। সব সময়ই বাগানের জন্য পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত মাটি প্রয়োজন । সাধারণত বেলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম এবং এ মাটি অনুর্বর। এ ধরনের মাটিতে কুল, কাজুবাদাম, খেজুর প্রভৃতি ফল ভাল হলেও অন্যান্য অনেক ফল ভালভাবে জন্মাতে পারে না ।

অম্ল মাটিতে চুন, ডলোমাইট (ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ) প্রয়োগে অম্লতা কমানো যায় এবং ক্ষার বা লবণাক্ত মাটিতে জিপসাম (ক্যালসিয়াম সালফেট) প্রয়োগে ক্ষারত্ব প্রশমন করা যায় । টক জাতীয় ফুল গাছ যেমন— লেবু জাতীয়, আমড়া, অরবরই, আনারস প্রভৃতি অম্লযুক্ত লাল মাটি পছন্দ করে । নারিকেল গাছ লবণাক্ত মাটি বেশি পছন্দ করে । কাঁকুরে বা পাথুরে লাল (ল্যোটরাইট) মাটিতে আঙ্গুর, কুল ভাল হয় । ভেজা ও স্যাতসেঁতে মাটিতে কলা, আমড়া, লটকন, পেয়ারা ইত্যাদি ভাল হয় । পানি স্তর নিচে ও রং ধুসর এ ধরনের মাটিতে আম ভাল হয় ।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ জমি সমতল । যে সমস্ত জমিতে বর্ষা বা বন্যার পানি একেবারেই দাড়ায় না সে সমস্ত স্থান কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি ফল চাষের জন্য চিহ্নিত করতে হবে। আর যে সব জমি অল্প সময়ের জল প্লাবিত হয় সে সব জমিতে স্বল্প সময়ের জন্য জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন ফল চাষ করা যেতে পারে । যেমন- আম, জাম, দেওফল, চালতা, গাব, খেজুর, বেত ফল ইত্যাদি ।

পাহাড়ি এলাকায় চাল ৪৫ এর কম হলে সেখানে ভালভাবে ফলের চাষ করা যায় । বেশি ঢাল পাহাড়ে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ লাগানো হয় । উচু পাহাড়ের উত্তর পাশে সূর্যের আলো বেশি পড়ে না, এ রকম স্থান ফল চাষের জন্য তেমন উপযোগী নয় । ফল চাষের জন্য যোগাযাগে ব্যবস্থা, জমির মূল্য, শ্রমিকের সহজলভ্যতা, বাজার ব্যবস্থা, বাগানে কাজের যন্ত্রপাতি, সেচ ব্যবস্থা, সার, বীজ ও ফল সংক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজে ও কম মূল্যে প্রাপ্তির বিষয় বিবেচনা করতে হবে ।

বাণিজ্যিক ফল চাষের জন্য এলাকা নির্বাচন অর্থাৎ নির্দিষ্ট ফলের জন্য অনুকূল জলবায়ু ও মাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যেমন- মান সম্পন্ন ভাল আম ও লিচু দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ভাল জন্মে । সমভূমি অপেক্ষা পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার কাজুবাদাম, এ্যাভেক্যাডো, আঙ্গুর, কমলালেবু ইত্যাদি ভাল জন্মে । মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের অম্লত্ব ও লালমাটি এলাকায় আনারস ভাল জন্মে। অনুরূপভাবে উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা নারিকেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী । বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ঝড় তুফানের প্রকোপ বেশি । তাই আম, কলা পেঁপে ইত্যাদি ফল গাছ সেখানে লাগানো হলে ঝড়ে খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে । তাই এসব ফল ঐ এলাকায় চাষ করা উচিত নয়। তবে কিছু কিছু অপ্রধান ফল যেমন- গাব, আমড়া, চালতা, জাম, ডেউয়া, দেওফল, লটকন ইত্যাদি স্যাঁতসেঁতে, বৃষ্টিবহুল ও ঝড়ো এলাকায়ও ভালভাবে টিকে থাকে এবং ফলন দিতে পারে । ফল চাষের জন্য দোঁআশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী । অত্যধিক বেলে বা এটেল মাটি, বেশি লবণাক্ত বা বেশি অম্ল মাটি বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত নয় ।

কলা গাছ রোপণের জন্য মাটির প্রকারভেদ

এক এক ধরনের ফল গাছ এক এক ধরনের নির্দিষ্ট পরিবেশ; তথা বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ বিভিন্ন ধরনের মাটি, স্থান, জলবায়ু ও পরিচর্যা পছন্দ করে । এ ছাড়া ফল চাষের উদ্দেশের ওপর নির্ভর করে কিছু কিছু নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয় । যেমন—

ক) পারিবারিক চাহিদা মেটানোর জন্য ফল চাষ ।

খ) ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ফল চাষ ।

গ) সৌখিন ফল চাষ ।

ঘ) মিউজিয়াম হিসেবে ফল চাষ ।

ঙ) সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ফল চাষ ।

চ) প্রযুক্তিগত অবস্থার প্রেক্ষিতে ফল চাষ ।

এখানে ফলচাষের জন্য মাটি নির্বাচনে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা কর হয়েছে । ফল গাছ মাটি হতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। এ পুষ্টি সরবরাহের জন্য জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সাধারণ ফসলের চেয়ে ফল গাছে প্রচুর খাদ্য, পানি ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। গাছ মাটি হতে সবসময় পুষ্টি গ্রহণের ফলে মাটিতে পুষ্টির ঘাটতি পড়ে এবং ফলের ফলন কমে যায় । গাছে সব সময় ও সব বয়সে এক ধরনের এবং একই পরিমাণ পুষ্টির দরকার হয় না । তাই গাছের জীবনকাল ও চাহিদা বিবেচনা করে সার প্রয়োগ করতে হয় । তবে অধিকাংশ ফল গাছই দীর্ঘ মেয়াদী । যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, নারিকেল, তাল, বেল ইত্যাদি । গাছ গর্তে বসানোর সময় সার দেয়া হয় । এছাড়া প্রতিবছরই গাছে সার দিতে হয় । আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে সারের পরিমাণ পরিবর্তন করতে হয় । গাছের বাড়ন্ত সময় ও ফল ধরার আগে পরিমাণ মত সার দিতে হয় । অন্যথায় ফলন কমে যায় । বিজ্ঞানীরা ১৭টি উপাদানকে গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । এর মধ্যে যে কয়টি উপাদান গাছের জন্য বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয় সেগুলোকে মুখ্য উপাদান বলে। আর যেগুলো কম পরিমাণে প্রয়োজন হয় সেগুলোকে গৌণ উপাদান বলে । জীবন্ত গাছপালায় সাধারণত ৯৫% কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন থাকে । এগুলো বাতাসে যথেষ্ট বিদ্যমান বলে তেমন অভাব হয় না । অবশিষ্ট ৫% প্রয়োজনীয় উপাদান গাছ মাটি হতে শোষণ করে থাকে । এই অবশিষ্ট উপাদানের প্রাপ্তির ওপর ফলের ফলন নির্ভর করে থাকে ।

আমরা সাধারণত নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় সার প্রয়োগ করে থাকি । এগুলো মুখ্য উপাদান । অনুর্বর ও বৃষ্টিবহুল মাটিতে গৌণ উপাদানের খুবই অভাব দেখা যায় । কিন্তু এগুলো পরিমাণে কম লাগলেও ফলের ফলনের জন্য খুবই অত্যাবশ্যকীয় । তবে কোন মাটিতে কোন ধরনের পুষ্টি উপাদান ঘাটতি থাকতে পারে তা দেয়া হলো ।

মাটির অবস্থা

পুষ্টিগত অবস্থা

১. কম জৈব পদার্থ সম্পন্ন মাটিতেবেশির ভাগ উপাদান ঘাটতি থাকে
২. বেলে মাটিতেবেশির ভাগ উপাদান ঘাটতি থাকে
৩. অম্ল মাটিতেক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতি থাকে
৪. বার মাটিতেলৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ও দস্তা ঘাটতি থাকে
৫. অতি অম্ল ও ক্ষার মাটিতেফসফরাস, বোরণ ঘাটতি থাকে
৬. পুরাতন লাল মাটিতেপটাসিয়াম, সালফার ঘাটতি থাকে

মাটির অবস্থাভেদে কোন উপাদানের ঘাটতি থাকার সম্ভাবনা থাকলে তা পূরণ না করে সেখানে ফলপ্রসুভাবে ফল চাষ করা সম্ভব হবে না । ফল চাষে মাটির ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলির গুরুত্ব অনেক । ভৌত গুণাবলি বলতে মাটির মধ্যে বায়ু চলাচলের সুবিধা, মাটির মধ্যে ছিদ্র, মাটির কণার আকার এবং মাটির স্তর কত গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত তা বোঝায় । বৃক্ষজাতীয় ফল গাছের জন্য দুই মিটার গভীর পর্যন্ত সুনিষ্কাশিত মাটি সবচেয়ে ভাল । মাটির বুনট ভাল হলে পানি ধারণ ক্ষমতা, গাছের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ এবং মাটির মধ্যে ছিদ্র বেশি থাকে । এতে গাছের শেকড় সহজে বৃদ্ধি পায় এবং খাদ্য শোষক শেকড় মাটির বেশি গভীর হতে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে ।

মাটির বুনট ভালো না হলে পানি নিষ্কাশন ঠিকমত হবে না । ফলে পানির উপরে উঠে আসে । মাটির ভেতর । পানিতর ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পানির উপরে হলে মাটিতে ছিদ্র কমে যাবে, বায়ু চলাচলে অসুবিধা হবে এবং শিকড়ের শোষণ প্রক্রিয়া ব্যহত হবে। এমনকি এর ফলে শেকড় পঁচে যেতে পারে । যেমন— - কাঁঠাল, পেঁপে, আনারস, কলা, পেয়ারা ইত্যাদি । মাটির কণার আকৃতির ওপর নির্ভর করে মাটির বুনটের পরিবর্তন হয় ।

অধিকাংশ ফল যে কোন ধরনের বুনটের মাটিতে অর্থাৎ বেলে, বেলে দো-আশ, এটেল, এটেল দো-আশ ও কাকরযুক্ত মাটিতে পরিচর্যার মাধ্যমে চাষ করা যায় । হালকা বুনটের মাটিতে কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে, কলা, তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং ফলের মিষ্টতা বেশী হয় । আবার ভারি মাটিতে এগুলোর আকার বড় হয়, কিন্তু মিষ্টতা কম হয় । মাটির ভৌত গুণাবলী পরিবর্তন করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় । মাটির ভৌত গুণাবলির ওপর মাটির ভেতরের তাপমাত্রা নির্ভর করে, যা গাছের শেকড়ের বৃদ্ধিতে প্রভাব বিস্তার করে । তাই গাছের শেকড়ের বৃদ্ধির জন্য মাটির ভেতরে অনুকূল তাপমাত্রা থাকা প্রয়োজন । মাটির রাসায়নিক গুণাবলী বিশেষ করে মাটির পিএইচ মানাংক ও মাটির লবণাক্ততা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ফুল চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো পিএইচ হলো ৫.৫ হতে ৮.০ । মাটি বেশি অম্লীয় হলে লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যালুমিনিয়াম বেশি দ্রবীভূত হয়, যা গাছের জন্য বিষাক্ত । মাটি বেশি ক্ষারীয় হলে লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, কপার ও কোবাল্ট মাটিতে কম দ্রবীভূত হয়, যা গাছ শোষণ করতে পারে না। সাধারণত মাটি বেশি অম্ল হলে চুন এবং বেশি ক্ষারীয় হলে সালফার জাতীয় সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। ক্ষারীয় মাটিতে আনারসে লৌহের অভাব দেখা যায় । লবণাক্ত মাটিতে নারিকেল ছাড়া অন্য ফল লাভজনকভাবে জন্মানো যায় না । মাটিতে গৌণ খাদ্যের অভাবে নারিকেল ফলের অপক্কতা, ঝরে পড়া, ফল ও শাস গঠনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় । দস্তার অভাবে লেবু গাছের ছালে, লেবুর খোসায় আঠার থলের সৃষ্টি হয়, ফল ফেটে যায়, পাতার কিনারা শুকিয়ে যায় ।

সাধারণত উঁচু জমি, পানি জমে না বা বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা হয় না বা নিকাশের সুব্যবস্থা আছে এমন স্থান ফল চাষের জন্য ভাল । মাঝারি উঁচু জমি যেখানে অল্প সময়ের জন্য পানি জমে থাকে সেখানে অল্প সময়ের জন্য জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন ফল গাছ রোপণ করা যায় । আম, জাম, গাব, দেওফল, বেত ফল, নারিকেল, খেজুর, তাল ইত্যাদি এ শ্রেণিভুক্ত । অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে গাব ও পানিজাম চাষ করা সম্ভব হয় । সমুদ্র উপকূলবর্তী ও লোনা মাটিতে সব ধরনের ফল চাষ করা যায় না । তবে এ ধরনের মাটিতে ফসফরাস ও পটাশের তেমন অভাব হয় না বলে নারিকেল, সুপারী, কাউফল ও আমড়া জাতীয় ফল ভালভাবে জন্মাতে পারে ।

পাহাড়ী এলাকায় পাহাড়ের ঢাল কতটুকু তার ওপর নির্ভর করে ফল চাষ করতে হয় । কেননা ঢাল বেশি হলে অর্থাৎ ৪৫-এর বেশি ঢালে ফল চাষ করা দুরুহ । তবে বেশি ঢালে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ রোপণ করতে হয় । পাহাড় উচু হলে তার উত্তর দিকে বেশী আলো পৌঁছেনা । এ রকম স্থান ফল চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত নয় । তামাটে বর্ণের পাহাড়ী মাটি অম্লীয় ও সুনিষ্কাশিত হলে মাটির পিএইচ মানাংক সাধারণত ৪ - ৪.৫ হয় । এ ধরনের মাটিতে কাজুবাদাম, আনারস, এ্যাভাকোডো, কাঁঠাল, সুপারি ইত্যাদি জন্মানো যায় । সাধারনভাবে বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই সব ধরনের ফল মোটামুটি জন্মাতে পারে । তবে কিছু কিছু ফল সবস্থানে ভাল ফলন দিতে পারে না যেমন— উৎকৃষ্টমানের আম দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহে ভাল জন্মে । পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী এলাকা কমলালেবুর চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী । আনারস চাষের জন্য অম্ল মাটি উপযোগী । মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের লালমাটি এলাকা অম্লীয় বিধায় আনারস চাষের জন্য সবচেয়ে ভাল । লোনামাটির এলাকা বরিশাল বিভাগ ও খুলনার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা নারিকেল চাষে জন্য উত্তম । এ ছাড়াও বৃষ্টি বহুল এবং সাঁতসেতে পরিবেশ বিরাজ করে বলে গাব, চালতা, জাম, দেওফল, লটকন ইত্যাদি ভালো ভাবে জন্মাতে পারে ।

Content added By

প্রশ্নমালা

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। আমাদের দেশে ফলের চারা/কলম রোপণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন ? 

২। আবহাওয়ার প্রভাবকের উপর নির্ভর করে ফলকে কত ভাগে ভাগ করা যায় । 

৩ । কোন মাটি ফল চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ? 

৪ । বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের মাটি নারিকেল চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। ফল বাগানের জন্য কিরূপ জমি নির্বাচন করা উচিত । 

২। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ফলকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় । প্রত্যেকটির ৫টি করে উদাহরণ দাও । 

৩ । আবহাওয়ার প্রভাবকগুলোর ওপর ভিত্তি করে ফলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? 

৪ । ফল চাষের উপর তাপমাত্রার প্রভাব সম্পর্কে লেখ । 

৫ । ফল গাছ রোপনের সময় বা মৌসুম বলতে কি বোঝায় ? 

৬। বৃষ্টিপাত কিভাবে ফল উৎপাদনের প্রভাব ফেলে? 

৭ । সমুদ্র উপকুলবর্তী ও লোনা মাটিতে কোন কোন ফল ভালো জন্মে ?

রচনামুলক প্রশ্ন

১ । জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে ফল উৎপাদন অঞ্চলসমূহের বর্ণনা দাও । 

২। ফল গাছ রোপণের জন্য জমির উপযুক্ততা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর । 

৩ । জলবায়ুর প্রভাবকগুলো ফল উৎপাদন কিভাবে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা কর । 

৪ । ফল গাছ রোপণের জন্য মাটির প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা কর । 

৫। গাছ রোপণের সময় বা মৌসুম সম্পর্কে লেখ। 

৬। চারা রোপণ সময়ের পরবর্তী পরিচর্যা গুলো সংক্ষেপে লেখ । 

৭ । ফল চাষের জন্য জমি তৈরি সংক্ষেপে লেখ । 

৮। টীকা লেখ ? 

ক) জলবায়ুর চাহিদা অনুযায়ী ফলের শ্রেণিবিভাগ খ) উষ্ণমণ্ডলীয় ফল গ) অব উষ্ণমণ্ডলীয় ফল

Content added By
Promotion